দুই বছর বন্ধ থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা বাজার থেকে রংপুর রেলপথে কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) রমনা বাজার স্টেশনে ফিতা কেটে পতাকা উড়িয়ে চিলমারী কমিউটার নামে ওই ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ, চালক ও ইঞ্জিন স্বল্পতা এবং স্টেশন মাস্টার না থাকার অজুহাতে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা রেলওয়ে যোগাযোগ সারা দেশে চালু হলেও চিলমারীর রেল যোগাযোগ দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ ছিল। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দুপুরে চিলমারীর রমনা থেকে পার্বতীপুরগামী ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি।

চিলমারী কমিউটার নামে এই মেইল ট্রেনটি রমনা বাজার স্টেশন থেকে ছেড়ে কাউনিয়া হয়ে রংপুর পর্যন্ত যাবে। আবারও লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে ওই ট্রেনটি কাউনিয়া হয়ে রমনা বাজার আসবে।

চিলমারী কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম, অতিরিক্ত সচিব (অব.) বদরুল আলম বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান আজাদ জামান প্রমুখ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯২৮ সালের ২ আগস্ট বন্দরনগরী চিলমারী থেকে প্রথম রেলপথে রেল যোগাযোগ চালু হয়। তিস্তা থেকে কুড়িগ্রাম হয়ে চিলমারীর রমনা স্টেশন পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৪৩ কিলোমিটার পড়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভেতরে। যাত্রীদের সুবিধার্থে এই ৪৩ কিলোমিটার রেলপথে স্থাপন করা হয় ৮টি স্টেশন। কুড়িগ্রাম রেলপথ চালুর পর পার্বতীপুর-রমনা রেলপথে সকালে ও সন্ধ্যা মিলে ২টি ও লালমনিরহাট-রমনা পথে দুপুরে ও রাতে ২টিসহ মোট ৪টি ট্রেন চালু ছিল।

২০০২ সালের দিকে হটাৎ করে পার্বতীপুর-রমনা রুটে ১টি ও লালমনিরহাট-রমনা রেলপথের দুটি ট্রেনসহ তিনটি ট্রেন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে একটি ট্রেন পার্বতীপুর-রমনা রুটে সকালে রমনা এসে তিস্তা গিয়ে ফের দুপুরের রমনা হয়ে চলাচল করছিল।